ভয়ংকর সব গুমের ঘটনায় জড়িত শেখ হাসিনা
জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে এনফোর্সড গুম কমিশন। শনিবার বিকাল ৫টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স কমিশন তার প্রথম অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয়।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে 'সত্যের উন্মোচন' শীর্ষক প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
আপনার উল্লেখ করা ঘটনার উপর ভিত্তি করে, এটা স্পষ্ট যে নিখোঁজ কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা অনেক অভিযোগ পেয়েছে এবং বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করছে। নিম্নে এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
1. **অভিযোগের সংখ্যা:**
গুম কমিশনের তথ্যমতে, পহেলা অক্টোবর ১,৬০০টি অধিক গুমের অভিযোগ জমা পর্যন্ত। এটি একটি বড় সংখ্যা, যা জিনিষের সমষ্টি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
2. **তদন্ত প্রক্রিয়া:**
-দিনকার নেওয়া হয়েছে ১৪০ জন।
- ৪০০টি অভিযোগের আরও অভিযোগ।
- ২০০৯ থেকে ২০২৪** এর মধ্যে গুমের সাথে ** আন্তর্জাতিক বা বিশেষ দেখাতে দেখানর সংযোগ দেশের সদস্যতা রয়েছে, নির্দেশ খতিয়ে যাচ্ছে।
৩. ** আঘাতর প্রতীকতা:**
বিভিন্ন সাংবাদিক সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটি ইঙ্গিত করে যে, নিরাপত্তাকারীরা শুধুমাত্র অভিযোগ করবে না, উদ্দেশ্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী গুম কমিশনের কার্যক্রম ও তদন্তে বেশ কিছু গুরুতর বিষয় উঠে এসেছে। এখানে প্রধান কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
১. গুমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা
কমিশনটির চেয়ারম্যানের মতে, একাধিক সংস্থা গুমের সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন): সর্বোচ্চ ১৭২টি ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ।
- পুলিশ, ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ), সিটিটিসি (কাউন্টার টেররিজম ইউনিট), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট): এদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।
এটি ইঙ্গিত করে যে, গুমের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে।
২. গুমের কারণ
- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: সরকারের সমালোচকদের টার্গেট করা।
- প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: রাজনৈতিক বিরোধী দল বা ব্যক্তিদের নিস্তব্ধ করার জন্য গুমের ব্যবহার।
এটি স্পষ্ট যে গুম কেবল ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নয়, বরং রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ।
৩. আলামত ধ্বংসের চেষ্টা
- কমিশনের ভাষ্যমতে, অনেক ক্ষেত্রে গুমের ঘটনা লুকানোর জন্য আলামত ধ্বংসের চেষ্টা চলছে।
- এটি একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়, কারণ এটি বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন করে তোলে।