No title

 

পাহাড়ি লোকজনদের হাতে মার খাচ্ছে বিজিবি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বিজিবির টহল দলের ওপর গ্রামবাসীর হামলায় একজন বিজিবি

সদস্য আহত হয়েছেন।

বিস্তারিত কমেন্টে ক্লিক করুন

বিজিবির দাবি, তারা গরু চোরাকারবারিদের ধরতে গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার

তিলাই ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন।

এ সময় বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে গরু চোরাকারবারিরা গ্রামবাসীকে নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।

আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন।

স্থানীয় লোকজন জানান, জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের এক

ব্যক্তিকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জহুরুল ইসলাম কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর ভর্তি স্লিপে লেখা আছে, নূর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। হাসপাতালের পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, জহুরুল ইসলামের হাঁটুর নিচে গুলি লেগেছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে জহুরুল ইসলামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার মধ্যরাতে বিজিবির অভিযানের পর জহুরুলের পরিবারের

সবাই পালিয়েছেন।


তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামটি পাগলারহাট আন্তর্জাতিক সীমান্ত ৯৯৭-এর ৮ এস পিলারের কাছে। বিজিবি জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে ওই পিলারের কাছ দিয়ে গরুর চোরাকারবারিরা ভারত থেকে কয়েকটি গরু পাচার করে এনে দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আসাদুল হকের বাড়িতে রাখেন। খবর পেয়ে বিজিবির দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ির টহল দল ওই বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই বাড়ির লোকজন বিজিবিকে জানান, গরুগুলোকে তাঁদের বাড়ির পালিত। এ সময় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের কথা–কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর চোরাকারবারি ও গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা চালান। হামলায় একজন বিজিবি সদস্য আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে দুটি ফাঁকা গুলি করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে বিজিবি।

এ প্রসঙ্গে তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। লোকজন মুঠোফোনে তাঁকে ঘটনার কথা জানান।


ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করার জন্য বিজিবির সদস্যরা এসেছে। প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবদুল মোত্তাকিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। চোরাকারবারিদের হামলায় একজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। অন্য কেউ আহত হয়েছেন এমন কিছু তাঁর জানা নেই। তবে বিজিবির ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।





Post a Comment

Previous Post Next Post