স্ত্রীকে হত্যার পর তার লাশ কেটে তিন দিন প্রেসার কুকারে রান্না করে

 স্ত্রীকে হত্যার পর তার লাশ কেটে তিন দিন 

প্রেসার কুকারে রান্না করে

স্ত্রীকে হত্যার পর তার লাশ কেটে তিন দিন প্রেসার কুকারে রান্না করেন।


একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করে তার লাশ লুকানোর জন্য একটি অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। স্বামী মৃতদেহ কেটে প্রেসার কুকারে তিন দিন রান্না করেন। সাবেক ভারতীয় সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সাবেক ওশেরা সদস্যও।


এই শীতল ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের হায়দ্রাবাদে। পুলিশ দাবি করেছে যে পুলিশ গুরু মূর্তি এর স্ত্রী ভেঙ্কটা মাধবী (৩৫) নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত শুরু করেছে এবং শীঘ্রই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে।


ভেঙ্কটা মাধবীর পরিবার জানিয়েছে যে ভেঙ্কটা মাধবী 16 জানুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে ভেঙ্কটা মাধবীর পরিবার গুরু মূর্তিকে সন্দেহ করছে।


গুরু মূর্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এবং শরীরে কী কী কাজ করেছিলেন তাও প্রকাশ করলেন।


পুলিশ বলছে, স্ত্রীকে হত্যার পর গুরুমূর্তি লাশটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন। তারপর সেগুলি প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে। তারপর তিনি হাড়গুলিকে আলাদা করলেন, একটি মর্টারে মাটি দিয়ে আবার সেদ্ধ করলেন। এভাবে তিনদিন ধরে একাধিকবার মাংস ও হাড় সিদ্ধ করার পর সে সেগুলো প্যাকেটে ভরে স্থানীয় একটি হ্রদে ফেলে দেয়।


নিঃসন্দেহে এটি একটি ভয়াবহ ও অমানবিক ঘটনা যা মানুষকে কাঁপিয়ে তোলে। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে হত্যার পর গুরু মূর্তি এমন নৃশংসভাবে মৃতদেহ ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন যা শুনতেই ভয়ঙ্কর। এই ঘটনা শুধু অপরাধের মাত্রাই তুলে ধরে না, মানসিক বিকৃতির চরম রূপও তুলে ধরে।


পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গুরু মূর্তি প্রথমে তার স্ত্রীকে খুন করেন। হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে বাথরুমে নিয়ে যায়। তারপর সে টুকরোগুলো প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে, যা শুনতে এতটাই ভয়াবহ যে কল্পনা করাও কঠিন।


তিনি হাড়গুলি আলাদা করার জন্য একটি মর্টার ব্যবহার করেছিলেন, সেগুলিকে চূর্ণ করে আবার সেদ্ধ করেছিলেন। তিনি তিন দিন ধরে একাধিকবার এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। অবশেষে, তিনি মাংস এবং হাড়ের অংশগুলি প্যাকেটে ভরে স্থানীয় একটি হ্রদে ফেলে দেন।


এ ধরনের ঘটনা শুধু নৃশংসই নয়, এটা মানসিক বিকৃতির চরম উদাহরণ। সাধারণত এই ধরনের অপরাধীরা মানসিকভাবে বিকৃত, সংবেদনশীল এবং বাস্তবতার সংস্পর্শের বাইরে থাকে।


অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাগের কারণে এমন অপরাধ সংঘটিত হয়, যেখানে অপরাধী তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।


অপরাধের আলামত লুকানোর জন্য এ ধরনের ভয়ংকর পন্থা অবলম্বন করা হয়।


অপরাধীরা প্রায়ই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং তাদের মানসিক গঠন সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।


এ ধরনের ঘটনা সবার মনকে নাড়া দেয় এবং অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং গুরু মূর্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


এমন নৃশংস ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এটা শুধু একটি পরিবারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, গোটা সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে- মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কী করে?


এ ধরনের ঘটনা রোধে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা প্রয়োজন।


মানসিক অস্থিরতা বা সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে একজন পেশাদারের কাছে যাওয়া জরুরি।

Post a Comment

Previous Post Next Post